kazi ashraful islam
Friday, October 14, 2011
মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে
নতুন গবেষণা অনুযায়ী, মন্দ চরিত্রের পুরুষেরা রোমাঞ্চবিলাসী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়ায় অনেক নারী তাদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে কারও আলোকিত দিকের চেয়ে খারাপ দিকও অনেক সময় অন্যের মনে সহানুভূতি সৃষ্টি করে। এ ধরনের পুরুষ কোনো পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ কিংবা হিসাব নিরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ভালো হতে পারে—এটি গবেষণায় দেখিয়েছেন আদ্রিয়ান ফার্নহাম। তারা অনেক ক্ষেত্রেই সৃষ্টিশীল এবং ভালো বক্তা। আর তাই তাদের প্রতি স্বভাবতই নারীরা একটু বেশি ঝোঁকে।
গবেষণায় আরও দেখানো হয়, খামখেয়ালিপূর্ণ, রোমাঞ্চবিলাসী, খুঁতখুঁতে এবং আগ্রাসী মনোভাবের ছেলেদের অনেক মেয়ে পছন্দ করে থাকে। পারসোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজ্যুয়াল ডিফারেন্সেস সাময়িকীর বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ডেইলি স্টার পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
Wednesday, October 12, 2011
বিচ্ছেদে পুরুষের কষ্ট বেশি!
বিবাহবিচ্ছেদের পর নারীর চেয়ে বেশি কষ্ট পান পুরুষেরা। মানিয়ে নেওয়া বা মানিয়ে চলার অভ্যাস পুরুষদের মধ্যে বরাবরই কম। হয়তো সে কারণেই পুরোনো অভ্যাস ছেড়ে নতুন জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের জন্য। কিন্তু ঠিক উল্টোটা ঘটে নারীদের বেলায়। বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীকে সবাই করুণার পাত্রী মনে করলেও তাঁরাই দ্রুত নতুন অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। এটিকে তাঁরা দেখেন জীবনের নতুন লড়াই হিসেবে। আর সে লড়াইতে প্রাণপণে জেতার চেষ্টা করেন তাঁরা।
অন্যদিকে বিচ্ছেদের পর মনের দিক দিয়ে পুরুষেরা নারীদের চেয়ে বেশি ভেঙে পড়েন। এমনকি তাঁদের খাওয়া-দাওয়া, ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক জরিপে এমনটাই দেখা গেছে। ওই জরিপে দেখা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের পর ৪৮ শতাংশ পুরুষ খুবই নিঃসঙ্গ বোধ করে। অন্যদিকে নারীদের মধ্যে এই হার কম। ৩৫ শতাংশ নারী নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করে।
অবশ্য পুরুষের এই ভেঙে পড়াটা পুরোপুরি আবেগের কারণে নয়। বিবাহবিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ধকলটা পুরুষকেই বেশি সামলাতে হয়। অন্যদিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে নারীর জন্য ব্যাপারটা সে তুলনায় সহজ হয়ে দাঁড়ায়। বিচ্ছেদের পর নারী স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণও আদায় করে নিতে পারেন। এ ছাড়া বিবাহবিচ্ছেদের ব্যাপারে বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকেও তাঁরা অনেক বেশি সহানুভূতি পেয়ে থাকেন।
লন্ডনের বিবাহবিচ্ছেদ-বিষয়ক আইনজীবী এডাম উইটকোভার ও ব্রস বেনেট অবশ্য এই জরিপের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন। তিনি বলেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর অনেক নারীও পুরুষদের মতোই হতাশায় ভোগেন। কারণ তাঁদের অনেক বেশি ঝামেলার মুখে পড়তে হয়। প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, পরিবার সবাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আঙুল তোলে নারীর দিকেই। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের ওই জরিপ বলছে, এসব ঝামেলা সামলেও বিচ্ছেদের পর পুরুষদের চেয়ে বেশি শক্ত থাকেন নারীরাই।
Tuesday, October 11, 2011
আকৃষ্ট হতে সময় লাগে ১১৯ সেকেন্ড!
কাউকে প্রথম দেখার পর আকৃষ্ট হতে সময় লাগে ১১৯ সেকেন্ড বা প্রায় দুই মিনিট। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ডেটিং, কর্মক্ষেত্রে সাক্ষাত্কার, ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে বৈঠক এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হওয়ার ১১৯ সেকেন্ডের মধ্যেই আকৃষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি ঘটে থাকে।’
যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজন (৮৪ শতাংশ) প্রথম দেখার ১১৯ সেকেন্ডেই আকৃষ্ট হয়। আবার এর উল্টো ফলও রয়েছে। প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন (নয় শতাংশ) এ ক্ষেত্রে তাদের মন পরিবর্তন করে অর্থাত্ তারা এ সময়ের মধ্যে আকৃষ্ট হয় না।
সুন্দর হাসি এবং পরিপাটি চুল যাদের রয়েছে, অন্যকে মুগ্ধ করার একটা ভালো সুযোগ তাদের রয়েছে। কারও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ তার প্রতি অন্যের আকর্ষণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। সূত্র এএনআই।
গজলসম্রাট জগজিৎ সিং আর নেই
ডেসটিনি রিপোর্ট
'বেশি কিছু আশা করা ভুল,' 'কতো বেদনা দিলে', 'বেদনা মধুর হয়ে যায়, নদীতে তুফান এলে কূল ভেঙ্গে যায়', 'চোখে চাখ রেখে আমি সুরা পান করি', 'বুঝিনিতো আমি, পৃথিবীতে ভালোবাসা সবচেয়ে দামি', 'তোমার চুল বাঁধা দেখতে দেখতে'_ জনপ্রিয় এই গানগুলোর স্রষ্টা উপমহাদেশের
প্রখ্যাত গজলশিল্পী জগজিৎ সিং। গতকাল সোমবার ভারতের মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কিংবদন্তি এ গজলশিল্পী মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
গত মাসের শেষদিকে অপর প্রখ্যাত গজলশিল্পী গোলাম আলীর সঙ্গে যৌথভাবে মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই তিনি আকস্মিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ২৩ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে এই শিল্পীর মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর গত সপ্তায় তাকে একই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। 'গজলসম্রাট' দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চরক্তচাপে ভুগছিলেন।
জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস বলেন, জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু সংগীত জগতের জন্য এক বিশাল ক্ষতি।
২০০৩ সালে ভারত সরকারের পদ্মভূষণ খেতাব পাওয়া এই শিল্পী গত চার দশক ধরে একাধারে হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দু, বাংলা, গুজরাটি, সিন্ধি ও নেপালি ভাষায় গান শুনিয়ে আসছেন উপমহাদেশের শ্রোতাদের। তার স্ত্রী চিত্রা সিংও একজন বিখ্যাত শিল্পী। স্ত্রী চিত্রাকে সঙ্গে নিয়ে জগজিৎ সিং ভারতে গজলের পুনর্জাগরণ সৃষ্টি করেছেন বলে মনে করা হয়। এই শিল্পীদম্পতির আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় ভারতের বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার কাজে।
বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গান গেয়ে এ দেশের শ্রোতাদেরও মুগ্ধ করেছেন গজলসম্রাট। তার কণ্ঠে গাওয়া সেই জনপ্রিয় রোমান্টিক ধাঁচের বাংলা গানগুলো শ্রোতাদের মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
জগজিৎ জন্মেছিলেন রাজস্থানে ১৯৪১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। বাবা অমর সিং এবং মা বচন কাউরের ১১ সন্তানের ভেতরে জগজিৎ ছিলেন তৃতীয়। ছোট একটি সরকারি বাড়িতেই শুরু হয়েছিল ভবিষ্যতের এই গজলসম্রাটের শৈশব। যেখানে না ছিল পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, না বিদ্যুৎ। তবু এই মফস্বলের এক কোনেই বাবার উৎসাহে গানের পথে হাঁটার শুরুটা হয়েছিল জগজিৎ সিংয়ের। বাড়িতে সংগীতের পরিবেশ ছিল, যখন বাড়ির প্রাথমিক তালিম প্রায় শেষ; সে সময় জামাল খান নামের একজন তাকে বাড়িতে এসে গান শেখাতে শুরু করেন।
শিক্ষাজীবন থেকেই তার যাত্রা ক্রমশ গজলের সপ্তমাকাশে। প্রথমে ছোটখাটো গজলের অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। সংগীত পরিচালকদের কাছে ক্রমশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু গজলসম্রাটের সিংহাসনটি তখনও অধরা। গায়ক নেওয়ার বেলায় সেই পরিচালকরা তখন খুঁজতেন তাদের লোকজনদের। গজলই তাকে খুঁজে দিয়েছিল তার ভালোবাসার মানসীকে, এর মাঝেই পরিচয় ঘটেছিল বাঙালি মেয়ে চিত্রা সিংয়ের সঙ্গে; তখন চিত্রা সিং হননি, জিঙ্গেল গাইতেন। বিবাহিত চিত্রার স্বামী চালাতেন একটা স্টুডিও। তার সঙ্গে জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিতে শুরু করেন জগজিৎ। এভাবেই আবেগ ছড়ায় কণ্ঠ থেকে হৃদয়ে। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার সংযোগ কিন্তু সেই গজলই। এই সুরই কিন্তু জগজিৎকে রাজস্থান থেকে টেনে এনে ফেলেছে বাঙালি চিত্রার শ্যামলিম ভালোবাসায়।
চিত্রার স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ১৯৬৯-এর ডিসেম্বরে বিয়ে করেন জগজিৎ সিং আর চিত্রা। চিত্রার আগের পক্ষের মেয়ে মনিকাকে নিয়ে ওয়ার্ডেন রোডের ছোট্ট এক রুমের একটি বাড়িতে সংসার শুরু হয় গজল দুনিয়ার জনপ্রিয়তম জুটি জগজিৎ-চিত্রা সিংয়ের।
১৯৭১ সালে জগজিৎ-চিত্রা দম্পতির ঘরে আসে একটি পুত্র সন্তান, যার নাম রেখেছিলেন বিবেক। ১৯৭৬ সাল। এ বছরই জগজিৎ আর চিত্রা সিংয়ের প্রথম লং প্লেইং রেকর্ড বা এলপি অ্যালবাম 'আনফরগটেনেবলস' প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জগজিৎ সিংকে। তুমুল ব্যবসা, জনপ্রিয়তা, ছবিতে গান গাওয়ার অফার সব যেন রাজস্থানের উষর জমিতে প্লাবনের ঢলের মতোই নেমে আসে।
উপমহাদেশের সংগীতাকাশে মেহেদি হাসান, নূরজাহান, বেগম আখতার এবং তালাত মাহমুদ; যিনি ছিলেন জগজিৎয়ের আশৈশব স্বপ্নের তারকা, সেই একই আকাশে নক্ষত্র হয়ে জ্বলে ওঠেন তিনি। প্লেব্যাক করেন প্রেম গীত (১৯৮১), সাথ সাথ, মহেশ ভাটের ডেব্যু ফিল্ম আর্থ (১৯৮২), টিভি সিরিজ মির্জা গালিব (১৯৮৮) এবং কাহকাশান (১৯৯১)।
৫ যুগের এই দীর্ঘ সময়ে জগজিৎয়ের এ পর্যন্ত ৮০টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৩ সালে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ খেতাব পদ্মভূষণে সম্মানিত এই শিল্পী গত চার দশক ধরে একাধারে হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দু, বাংলা, গুজরাটি, সিন্ধি ও নেপালি ভাষায় গান শুনিয়েছেন উপমহাদেশের শ্রোতাদের।
১৯৯০-এ জগজিৎয়ের একমাত্র পুত্র বিবেক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তখন বিবেকের বয়স মাত্র ১৯ বছর। এরপরই স্থায়ী এক অন্ধকারের দেয়াল উঠে যায় এ জুটির জীবনে। যদিও এরপরও থেমে থাকেননি জগজিৎ। কিন্তু তার স্ত্রী সুকণ্ঠী চিত্রা পুত্রশোকে গান গাওয়াই ছেড়ে দেন।
এদিকে আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, এ গজলসম্রাটের মৃত্যুতে সারা ভারতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বলিউডের বিখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার তার ভাষায় বলেন, এমন একজন শিল্পীকে আমরা হারালাম, যার শূন্যস্থান পূরণ করা খুবই অসম্ভব।' সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর বলেন, গজলসম্রাটকে শুধু হারালাম না, তার সঙ্গে হারালাম গজলের ভা-ারকে। প-িত অজয় চক্রবর্তী বলেন, জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যুতে গজলের জগৎটাই যেন আজ কিছুটা খালি হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে বলেন, জগজিৎ সিং ছিলেন আমার প্রিয় গজলশিল্পী, কলকাতায় অনেকবার ওনার গজলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।
Sunday, October 9, 2011
আইসক্রিম থেকে সাবধান!
অবসর সময়ে একটু আয়েশ করে আইসক্রিম খাচ্ছেন। মাথা ও শরীরটাকে একটু চাঙা করতে চাইছেন। ভালো কথা। কিন্তু খুব খেয়াল! খাবেন—তবে লুকিয়ে লুকিয়ে। কারণ, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যে আইসক্রিম আপনি খাচ্ছেন, তা যদি কেউ দেখে ফেলে, তাহলে উত্তেজিত হয়ে আপনার নামে যৌন হয়রানির মামলা ঠুকে দিতে পারে অনায়াসেই। প্রকাশ্যে একটি আইসক্রিম খেয়েই কিন্তু ফেঁসে গেলেন আপনি। তবে এই আইন নারীদের জন্যই বেশি প্রযোজ্য।
গতকাল শনিবার ডেইলি মেইল অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ফিনল্যান্ডের একদল আইনজীবী অনেক ভেবেচিন্তে যৌন হয়রানির আইনে নতুন বিষয়টি সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছেন। তাঁরা বলেন, যেসব নারী জনসমক্ষে অন্যকে উসকানি দেওয়ার ভঙ্গিতে আইসক্রিম খাবেন, শুধু তাঁরাই যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত হবেন। আর বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে ওই আইনজীবী দল ইন্টারনেটে একটি ভিডিওচিত্র ছেড়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে খুবই অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আইসক্রিম খাচ্ছেন এক কর্মজীবী তরুণী। আর এ তরুণীর পুরুষ সহকর্মীরা খুবই বিব্রত, অথচ উত্সুক হয়ে তাঁর আইসক্রিম চুষে খাওয়া দেখছেন।
ওই আইনজীবী দল বলে, এটা কি তাহলে যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে দ্য ফিনিশ লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে অনেকে অনেকভাবে নারী বা পুরুষকে যৌন হয়রানি করে থাকে। আর এ ভিডিওচিত্র সে বিষয়ে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করে তুলবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌন হয়রানিবিষয়ক আইনের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ভিডিওচিত্রটিতে দেখা যায়, ওই নারীর আইসক্রিম খাওয়ার ধরনটি যৌন উত্তেজনাপূর্ণ। আর এ কারণে যে কেউ চোখের পলক না ফেলে ওই নারীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। ইউরোপের আইনে বলা আছে, যদি কেউ অন্য কারও সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে, তাহলে সেটা অপরাধ। সেই হিসেবে ভিডিওচিত্রটিতে ওই নারীর আইসক্রিম খাওয়ার উত্তেজক দৃশ্যটি অবশ্যই যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে।