kazi ashraful islam

kazi ashraful islam

Friday, November 4, 2011

 পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন তৃতীয়

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে মোট পোশাক রপ্তানির সাড়ে চার শতাংশ বাংলাদেশ একাই রপ্তানি করে।
এক বছর আগেও বিশ্বে বাংলাদেশ ছিল পঞ্চম স্থানে। এক লাফে এবার তুরস্ক ও ভারতকে সরিয়ে তৃতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান ২০১১’ দলিল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে মূলত ২০১০ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির বাজার পরিসংখ্যানও আছে।
ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম স্থানটি চীন ধরে রেখেছে। বাজারে চীনের অংশ ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের বছরও (২০০৯) শীর্ষস্থানে ছিল। তখন অবশ্য অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ।
২০০৯ সালের মতো এবারও দ্বিতীয় স্থানে আছে ২৭ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার তাদের অংশ ২৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গতবার ছিল ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্ববাজারে তাদের অংশীদারি কমছে।
২০০৯ সালে বিশ্ব রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অংশ ছিল ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০১০ সালে তা ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৪ শতাংশ। এর ফলে ২০০৯ সালের পঞ্চম অবস্থান থেকে বাংলাদেশ উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে।
বিপরীতে গতবার তৃতীয় স্থানে থাকা তুরস্ক নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। ২০১০ সালে বিশ্ববাজারে তুরস্কের তৈরি পোশাকের অংশ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, যেখানে আগেরবার ছিল ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। অবশ্য পরিমাণগত দিক থেকে তুরস্কের মোট রপ্তানি ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বেড়েছে। তবে প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি হওয়ায় বাজার হিস্যায় এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ স্থানে থাকা ভারত ২০১০ সালে আরেক ধাপ নেমে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ভারতের তৈরি পোশাকের অংশ আগেরবারের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশের চেয়ে কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান অনুসারে, এই সময়কালে ভারতের মোট রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। শীর্ষ ১০ তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারতের রপ্তানিই এই সময়কালে কমেছে।
অন্যদিকে শীর্ষ ১০ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ২৭ শতাংশ। ২০১০ সালে পোশাক রপ্তানির বিশ্ববাজারে ভিয়েতনামের অংশ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, যেখানে ২০০৯ সালে এই হার ছিল ২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর এই পরিসংখ্যানে অবশ্য হংকংয়ের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখ করা হলেও তা চীনে অভ্যন্তরীণ ও পুনঃ রপ্তানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাই শীর্ষ ১৫ তালিকায় রপ্তানির পরিমাণগত দিক থেকে হংকংয়ের অবস্থান তৃতীয় দেখা গেলেও বৈশ্বিক বাজারে হিস্যা খুবই নগণ্য (দশমিক ২০ শতাংশ)।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইইউর ২৭টি দেশকে আলাদাভাবে দেখা হলে বাংলাদেশ আসলে দ্বিতীয় স্থানে। চীনের পরই তাহলে বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশি পোশাক খাতের অগ্রগতির ও সম্ভাবনার একটি বড় নির্দেশক। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অবস্থান ধরে রাখা।’
ফজলুল হক ব্যাখ্যা করে বলেন, বিশ্বমন্দায় বাংলাদেশের পোশাক খাতও এখন চাপের মুখে আছে। তবে এটা সাময়িক। গোটা শিল্প কোনো হুমকির মুখে নেই। তবে অবকাঠামোর অপ্রতুলতা, দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি ও অপরিকল্পিত শিল্পায়ন পোশাক খাতের সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিকেএমইএর সাবেক এই সভাপতি আরও মনে করেন, বাংলাদেশি পোশাকপণ্য নির্দিষ্ট বাজারে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। কাজেই বৈশ্বিকভাবে সৃষ্ট সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই অবস্থা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।
daily prothom alo news

প্রাচ্যের ‘প্লে-বয়’দের গল্প!

হঠাৎ করেই ভারতীয়দের হাতে অনেক টাকা চলে এসেছে। এই টাকা তারা কোথায় খরচ করবে—তা ভেবে পাচ্ছে না। বিশাল অর্থনীতির এই দেশ। ব্যবসা করলেই কোটিপতি। নিজেদের পরিবার-পরিজন সামলিয়েও হাতে থাকে অনেক কাঁচা টাকা। সেই টাকা এখন তারা খরচ করছে জুয়ায়। জুয়া এখনো সামাজিকভাবে ভারতে অগ্রহণযোগ্য ব্যাপার হলেও এই জুয়ায় ভারতীয়রা লগ্নি করছে কোটি কোটি ডলার। বিখ্যাত ভারতীয় ইংরেজি সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডের অক্টোবর সংখ্যায় ভারতীয়দের হঠাত্ পেয়ে বসা জুয়ার নেশা নিয়ে ছাপা হয়েছে দারুণ রোমাঞ্চকর এক প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদনটি পড়লে অবাক হতে হয়, আশ্চর্য হতে হয়, যে দেশ এখনো তার সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি, যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে যেখানে এখনো ক্ষুধা মূল সমস্যা, যারা নিশ্চিত করতে পারেনি নাগরিকের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সুবিধা, সে দেশের নাগরিকেরা জুয়া খেলে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে—ব্যাপারটি অবাক হওয়ার মতোই।
ভারতে জুয়া আইনসিদ্ধ কেবল দুটি স্থানে। গোয়া ও সিকিম। এ দুই জায়গা ছাড়া পুরো ভারতে জুয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মোটামুটি কঠোর আইন। ১৮৬৭ সালের পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের অধীনে ভারতে জুয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড। তার পরও অবশ্য জুয়াটা এ দেশে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কার্যক্রম’ হিসেবে বেশ জোরের সঙ্গেই চালু আছে।
ইন্ডিয়া টুডের এই বিশেষ প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁরা ভারতে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেদনে হয়তো সেসব ব্যবসায়ীর আসল নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু তাঁদের নিয়ে উল্লিখিত ঘটনাগুলো সত্যি। এ প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী ছাড়াও করপোরেট পেশায় নিয়োজিত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁরা প্রায়ই সিঙ্গাপুর, হংকং কিংবা ম্যাকাওয়ের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে নিয়ম করে যান। এবং প্রচুর টাকা উড়িয়ে আসেন। জুয়ার টেবিলে এঁদের যেমন আর্থিক ক্ষতির ব্যাপার আছে, ঠিক তেমনি রয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থপ্রাপ্তির ঘটনা।
বিরন মেহরা এমনই এক ব্যক্তিত্বের নাম। যিনি ভারতের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে কর্মরত। তিনি হংকংয়ের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে লগ্নি করেছেন প্রায় ৫০ লাখ রুপির মতো। পাঁচ লাখ রুপি তিনি হেরেছেন। লাভ বাকি ৪৫ লাখ। এটা বর্তমানে ভারতীয় পয়সা ওয়ালাদের জুয়া-বাণিজ্যে নিতান্তই সিন্ধুতে বিন্দু বলা যায়।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিরাতে অনেক ভারতীয় হংকং, সিঙ্গাপুর কিংবা ম্যাকাওয়ের উদ্দেশে উড়ে যান, এঁরা সবাই জুয়া খেলতে যান। একটা সময় ছিল যখন কোথাও বেড়াতে গিয়ে অনেকেই সখে জুয়ায় মেতে উঠতেন। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভারতীয়রা এখন কেবল জুয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই বিদেশে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত পূর্ব এশিয়ার এসব জুয়া স্পটগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গড়ে একেকজন ভারতীয় জুয়াড়ি এসব জায়গায় ১০ হাজার ডলার করে লগ্নি করেন।
ম্যাকাওয়ে ভারতীয় জুয়াড়ি যেখানে ২০০২ সালে ছিল মাত্র পাঁচ হাজার। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখেরও বেশি। সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলতে গিয়ে তো অনেকে পেয়েছেন সিঙ্গাপুর সরকারের কদর আর সমাদর। পাওয়ান বাগরি নামের একজন কলকাতাকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীকে সিঙ্গাপুরে গিয়ে খরচ করার জন্য দেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুর সরকারের বিশেষ সম্মাননা। তিনি হয়েছেন, সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বৃহত্ ‘খরুচে’।
এদিকে জুয়ার প্রতি ভারতীয় নাগরিকদের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় আশার আলো দেখছে দক্ষিণ এশিয়ার ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে খ্যাত শ্রীলঙ্কা। খুব তাড়াতাড়িই সে দেশের সরকার জুয়াকে আইনি স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের এ সিদ্ধান্ত শুধু ভারতীয় জুয়াড়িদের আকৃষ্ট করার জন্য। শ্রীলঙ্কা চাচ্ছে, যদি সিঙ্গাপুর হংকংয়ে গিয়ে অনেক বেশি খরচ করে ভারতীয়রা জুয়া খেলতে যেতে পারেন, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম খরচে তাঁরা কেন শ্রীলঙ্কা যাবেন না। ভারতীয় জুয়াড়িরা এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার মন্দা পর্যটন ব্যবসায়ের সঞ্জীবনী সুধা।
আগেই বলা হয়েছে ভারতে সিকিম ও গোয়ায় জুয়া আইনগতভাবে সিদ্ধ। গোয়ায় রয়েছে ২৪টি ক্যাসিনো। এই ক্যাসিনোগুলোতেও ভারতীয়রা সমানভাবে টাকা লগ্নি করে যাচ্ছে। গত দুই বছরে গোয়ার ক্যাসিনোগুলো ভারত সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে ২৫০ কোটি রুপি। সিকিমেও ক্যাসিনো ব্যবসা প্রতিনিয়ত ফুলে-ফেঁপে উঠছে। সিকিম এখন উঠে-পড়ে লেগেছে রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত নেপালের পর্যটন ব্যবসায়ে ভাগ বসাতে। খুব তাড়াতাড়িই এখানে একটি বিমানবন্দর তৈরি করছে ভারত সরকার।
গোয়ার ক্যাসিনো ব্যবসার প্রবৃদ্ধি গত তিন বছরে ৫০০ শতাংশ। এটি সেই সিঙ্গাপুর ও ম্যাকাওয়ের চেয়ে কি কোনো অংশে কম!
আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ দেশে তাহলে পরিবর্তিত সংস্কৃতির হাওয়া লেগে গেছে! daily prothom alo news

Thursday, November 3, 2011

জাল পাসপোর্ট তৈরির কারখানার সন্ধান

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া সনটেক এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার জাল পাসপোর্ট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবির একটি দল আজ ভোর পাঁচটার দিকে দনিয়া সনটেক এলাকার তিতুমীর সড়কে জাল পাসপোর্ট তৈরি চক্রের প্রধান শাহজাহানের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। ওই সময় তারা শাহজাহান (৪৮) ও তাঁর সহযোগী আবদুল মালেককে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় লুকিয়ে রাখা পাসপোর্ট তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, পাসপোর্ট তৈরিতে ব্যবহূত বিশেষ কিছু যন্ত্র এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি ভিসা তৈরির সিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
ডিবির সহকারী কমিশনার নাসিরউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাহজাহান ও মালেক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ‘তাদের সহযোগীরা জাল পাসপোর্ট রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করে। রোহিঙ্গারা একেকটি জাল পাসপোর্ট ৬০ হাজার টাকায় কিনে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাল পাসপোর্ট তৈরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’