এত
দিন ধরে তৃতীয় বিশ্বের গল্পই শুনে এসেছে গ্রিস। শুনেছে তৃতীয় বিশ্বের
মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা, নিম্ন জীবনযাত্রা কিংবা না খেয়ে মারা যাওয়ার
কথা। তৃতীয় বিশ্বের সেই গল্পই যেন এখন গ্রিসের মানুষের পরিণতি। সেখানে
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সন্তানদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন
অনেক বাবা-মা।
‘প্রতিদিন রাতে আমি একাকী কান্না করতাম। কান্না ছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না। প্রতিদিন আমি দগ্ধ হতাম কিন্তু আমার জন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। আমার সন্তান গির্জা থেকে আনা কিছু খাবার খেয়ে বেঁচে থাকত। না খেতে পেয়ে আমার সন্তানের ওজন ২৫ কেজি কমে গেছে।’ একজন নারী তাঁর সন্তান মারিয়াকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পর এভাবেই তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। চাকরি হারানোর পর সন্তানকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বড়দিনের কয়েক সপ্তাহ আগে চার বছর বয়সী সন্তানকে এথেন্সে একটি স্কুলে পাঠিয়েছিলেন তাঁর মা। ওই দিনই তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে চিঠি লেখেন, ‘আমি আজকে আন্নাকে নিতে স্কুলে যেতে পারছি না। কারণ তাকে দেখাশোনা করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। দয়া করে তার যত্ন নেবেন। দুঃখিত।’
এমন ঘটনাও ঘটেছে যে যমজ সন্তানের মা পুষ্টিহীনতার কারণে তাঁর সন্তানদের দুধ পান করাতে পারছেন না। এতে শিশু দুটিকে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে আরেকটি ঘটনা সবাইকে নাড়া দেয়। সেদিন ফাদার এন্তোনিও নামের একজন যাজক শহরে হাঁটতে বের হওয়ার পরই দেখেন, চারটি শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে সামনে পড়ে আছে। তাদের মধ্যে একজন নবজাতকও ছিল।
এ ধরনের ঘটনা গ্রিসের মতো একটি দেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ দেশটিতে পারিবারিক বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়। কিন্তু অর্থসংকটে সন্তানকে দেখাশোনা করতে না পারায় সমাজে অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন অনেক মা-বাবা। এ সংকট তৃতীয় বিশ্বের গল্পের মতো মনে হচ্ছে তাঁদের কাছে।
ফাদার এন্তোনিওর তত্ত্বাবধানে আছে দুই বছরের ফুটফুটে শিশু নাতাশা। কয়েক সপ্তাহ আগে শিশুটির মা তাকে গির্জার অধীনে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে যান। শিশুটির মা জানান, তাঁর হাতে কোনো কাজ নেই। এমনকি থাকার মতোও তাঁদের কোনো জায়গা নেই।
ফাদার এন্তোনিও বলেন, ‘গত বছর কয়েক শ পরিবার আমাদের কাছে তাদের সন্তান রেখে যেতে চেয়েছে। তারা আমাদের জানে ও বিশ্বাস করে। তারা বলছে, সন্তানদের লালন-পালন ও খাওয়ানোর মতো অর্থ তাদের কাছে নেই। তারা আশা করে, আমরা তাদের সন্তানের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারব।’ গ্রিসে আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এবারের মতো খারাপ পরিস্থিতি কখনো হয়নি বলে জানান ফাদার এন্তোনিও। বিবিসি।
‘প্রতিদিন রাতে আমি একাকী কান্না করতাম। কান্না ছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না। প্রতিদিন আমি দগ্ধ হতাম কিন্তু আমার জন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। আমার সন্তান গির্জা থেকে আনা কিছু খাবার খেয়ে বেঁচে থাকত। না খেতে পেয়ে আমার সন্তানের ওজন ২৫ কেজি কমে গেছে।’ একজন নারী তাঁর সন্তান মারিয়াকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পর এভাবেই তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। চাকরি হারানোর পর সন্তানকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বড়দিনের কয়েক সপ্তাহ আগে চার বছর বয়সী সন্তানকে এথেন্সে একটি স্কুলে পাঠিয়েছিলেন তাঁর মা। ওই দিনই তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে চিঠি লেখেন, ‘আমি আজকে আন্নাকে নিতে স্কুলে যেতে পারছি না। কারণ তাকে দেখাশোনা করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। দয়া করে তার যত্ন নেবেন। দুঃখিত।’
এমন ঘটনাও ঘটেছে যে যমজ সন্তানের মা পুষ্টিহীনতার কারণে তাঁর সন্তানদের দুধ পান করাতে পারছেন না। এতে শিশু দুটিকে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে আরেকটি ঘটনা সবাইকে নাড়া দেয়। সেদিন ফাদার এন্তোনিও নামের একজন যাজক শহরে হাঁটতে বের হওয়ার পরই দেখেন, চারটি শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে সামনে পড়ে আছে। তাদের মধ্যে একজন নবজাতকও ছিল।
এ ধরনের ঘটনা গ্রিসের মতো একটি দেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ দেশটিতে পারিবারিক বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়। কিন্তু অর্থসংকটে সন্তানকে দেখাশোনা করতে না পারায় সমাজে অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন অনেক মা-বাবা। এ সংকট তৃতীয় বিশ্বের গল্পের মতো মনে হচ্ছে তাঁদের কাছে।
ফাদার এন্তোনিওর তত্ত্বাবধানে আছে দুই বছরের ফুটফুটে শিশু নাতাশা। কয়েক সপ্তাহ আগে শিশুটির মা তাকে গির্জার অধীনে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে যান। শিশুটির মা জানান, তাঁর হাতে কোনো কাজ নেই। এমনকি থাকার মতোও তাঁদের কোনো জায়গা নেই।
ফাদার এন্তোনিও বলেন, ‘গত বছর কয়েক শ পরিবার আমাদের কাছে তাদের সন্তান রেখে যেতে চেয়েছে। তারা আমাদের জানে ও বিশ্বাস করে। তারা বলছে, সন্তানদের লালন-পালন ও খাওয়ানোর মতো অর্থ তাদের কাছে নেই। তারা আশা করে, আমরা তাদের সন্তানের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারব।’ গ্রিসে আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এবারের মতো খারাপ পরিস্থিতি কখনো হয়নি বলে জানান ফাদার এন্তোনিও। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment