kazi ashraful islam

kazi ashraful islam

Friday, January 20, 2012

হাসিনা উৎখাত চক্রান্ত ব্যর্থ

সেনা সদর দপ্তরের সংবাদ সম্মেলন অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে ১৪-১৬ জন মধ্যম সারির সেনা কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত কিছু সেনা কর্মকর্তা, কয়েকজন প্রবাসী ও নিষিদ্ধ ধর্মান্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর জড়িত দুই সাবেক সেনা অফিসার গ্রেপ্তার, একজন পলাতক : তদন্ত আদালত গঠনযাযাদি রিপোর্ট শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ চক্রান্তের সঙ্গে কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা, কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই দু'জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক এক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সেনা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক এই তথ্য জানান। এ সময় সিজিএস লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিকসহ আরো কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের ইন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের সে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এহসান ইউসুফ ও মেজর জাকিরকে গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেছে। এ ষড়যন্ত্রের আরেক হোতা পলাতক সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। নীল নকশার আরেক পরিকল্পনাকারী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদের (নওগাঁর বারশাইল ইউনিয়নের বালুভাড়া গ্রামের বাসিন্দা এম রাকিবের পুত্র) অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা গোয়েন্দারা। তিনি সম্ভবত হংকং অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) এহসান ইউসুফ একজন কর্মরত মেজরকে সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্ররোচনা করেন। ওই মেজর তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এর পরপরই লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) এহসান ইউসুফকে সেনাবাহিনীর আইনের ২(১)(ডি)(র) এবং ৭৩ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। এর ঘটনার মাত্র ৮ দিন পর অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সেনা অভ্যুত্থানের আরেক খলনায়ক মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক অপর এক কর্মরত সেনা অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকা- তথা সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করার কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। ওই কর্মকর্তাও বিষয়টি তাৎকক্ষিণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন। এর পরপরই সদ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী মেজর জিয়ার ছুটি ও বদলির আদেশ বাতিল করে তাকে দ্রুত ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগ দেয়ার জন্য বলা হয়। সেনা সদর দপ্তর ২৩ ডিসেম্বর এ আদেশ তাকে টেলিফোনে জানিয়ে দেয়। কিন্তু মেজর জিয়া সে আদেশ পালন না করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক (সাবভারসিভ) কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। সেনা সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী লগ এরিয়ায় যোগ না দেয়ায় সেনা আইন অনুযায়ী গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে মেজর জিয়াকে 'পলাতক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার ঢাকাস্থ বারিধারা ডিওএইচএস'র ৯ নাম্বার সড়কের ৫১২ নাম্বার বাসায় এবং স্থায়ী ঠিকানা মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে খোঁজ নিয়েছে গোয়েন্দারা। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। চাকরিরত আরেকজন অফিসারকে সরকারের প্রতি আনুগত্য না থাকার জন্য উদ্বুব্ধ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ৩১ ডিসেম্বর মেজর জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের আংশিক তথ্যাদি ফাঁস এবং এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় গত ২৬ ডিসেম্বর মেজর জিয়া তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তার পরিচিতদের একটি উস্কানিমূলক ই-মেইল করেন। যা পুরোটাই ছিল তার কল্পনাপ্রসূত এবং মিথ্যা গল্প। এ ই-মেইলটি পরবর্তীতে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকে 'ঝড়ষফরবৎং ঋড়ৎঁস্থ নামে বস্নগে জনৈক আবু সাঈদ আপলোড করেন। এর কয়েকদিন পর মেজর জিয়া 'গরফ-ষবাবষ ড়ভভরপবৎং ড়ভ ইধহমষধফবংয অৎসু ধৎব নৎরহরহম ফড়হি পযধহমবং ংড়ড়হ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার-মধ্যম সারির অফিসাররা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন' শিরোনামে কাল্পনিক ও অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয় উল্লেখ করে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। গত ৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে মেজর জিয়ার ইন্টারনেট বার্তাটি প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'হিযবুত তাহরির' পলাতক মেজর জিয়ার বার্তাটিকে ভিত্তি করে সারাদেশে উস্কানিমূলক লিফলেট ছড়ায়। তার একদিন পর গত ৯ জানুয়ারি দেশের একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও সেনাবাহিনীতে 'গুমের ঘটনা ঘটছে' বলে মনগড়া অভিযোগ করে। যা সেনাবাহিনী তথা সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উস্কানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে। সেনা সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত অবসরপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা ও অপর চাকরিরত অফিসারদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। গোয়েন্দারা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে পলাতক মেজর জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাতে থাকে। এ ব্যাপারে তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়া তার কল্পিত দুটি অপারেশন অর্ডার ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিরত বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠান। এছাড়াও ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়া বিভিন্ন ফরমেশন ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অধ্যয়নরত সমমনা বা তাদের দলভুক্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কল করে সেনা অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বার বার উদ্বুব্ধ করেন। একই রাতে মেজর জিয়া প্রবাসী (সম্ভবত হংকং) ইশরাক আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারা সেনা অভ্যুত্থানের অগ্রগতি ও তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় মেজর জিয়া তাকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি প্রচার করার জন্য বলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেনা অভ্যুত্থান শেষ হলে ইশরাক দ্রুত বিষয়টি তাকে জানানোর জন্য বলেন। যাতে কম সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে বিমানযোগে পেঁৗছাতে পারেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, বিশৃঙ্খলা পরবর্তী সুবিধা পাওয়ার জন্য ইশরাক বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যখন বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজের মধ্য দিয়ে একটি গুণগত মানের সমৃদ্ধ বাহিনী হিসেবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই অতীতে গণতন্ত্র ধ্বংসের বিভিন্ন 'অপশক্তি' দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রীয় শক্তি 'সেনাবাহিনী'র ওপর সওয়ার হওয়ার অপচেষ্টায় চালায়। এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্বার্থান্বেষী সংবাদপত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের প্লাটফর্ম। মুক্তিযুদ্ধের মাঝেই জন্ম নিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করা 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর' কাঁধে ভর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অতীত বিভিন্ন অপশক্তি রাজনৈতিক সুবিধা লাভ করেছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার বদনামের দায়ভার বহন করেছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার দায়ভার সেনাবাহিনী নেবে না বলে জানান জেনারেল মাসুদ। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ আরো বলেন, তারা নিকট ও দূর অতীতের মতো ষড়যন্ত্রকারীরা এবারো ধর্মান্ধের অনুভূতির অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করেছে। এই সব ঘৃণ্য চক্রান্তকারীদের দোসর হয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অতিমাত্রায় কট্টর এবং পারিবারিক বন্ধন, চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিবর্গ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র এবং এতে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অপকটে স্বীকার করেছে। তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক। সেনা অভ্যুত্থানের চক্রান্তে জড়িতের সংখ্যা কত- জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা বলা যাবে না। তবে ধারণা করছেন, 'এই ক্যু বা অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে মিড লেভেলের (মধ্যম স্তরের) ১৪ থেকে ১৬ জড়িত থাকতে পারে।' সঠিক চেইন অফ কমান্ড থাকায় এই চেষ্টা সেনাবাহিনী প্রতিহত করতে পেরেছে। চক্রান্তে বিদেশি কোনো রাষ্ট্র জড়িত কি না_ সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক বলেন, তারা কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। অভ্যুত্থানের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান (জিওসি) মেজর জেনারেল কামরুজ্জামান উধাও হওয়ার যে গুজব ছড়িয়েছিল- সে বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিনি ঢাকা সেনানিবাসে সপরিবারে অবস্থান করছেন। তিনি গৃহবন্দি কি না- এ প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক বলেন, 'সেনাবাহিনীতে গৃহবন্দিত্ব বলে কিছু নেই।' সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক বলেন, তদন্ত শেষে তা জানা যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে এ অভ্যুত্থানের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক। তিনি বলেন, এ বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাবে না। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের একটি বড় অংশ সেনা প্রশিক্ষণরত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে সাংবাদিকরা সেখানকার 'সিলেবাসে' ধর্মান্ধ হওয়ার মতো কোনো বিষয় আছে কিনা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক বলেন, সিলেবাসে এ ধরনের কিছু নেই। সেখানে এমবি ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসেও এ ধরনের যড়যন্ত্রের বিষয়ে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করেছিল। সেখানেও সেনা কর্মকর্তা এহসান ইউসুফের কথা উল্লেখ ছিল।

No comments:

Post a Comment